রচনা: বেয়াট্রিকস পটার
অনুবাদ : বহ্নি বেপারী
খরগোশছানা পিটার বইটি রিভিউ করেছেন সূচনা ।
সূচনা, পড়াশোনা করছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগে।পাঁচ বছর বয়সে একদিন বাবা হাতে বই তুলে দিলে, প্রথমবারের মতো কল্পনা আর গল্পের সাথে পরিচয় হয় তার। এরপর পুরো সময়টা কাটিয়েছে গল্পের খোঁজে। কখনো বনের সবুজ, কখনো পাতার ফাঁক গলে আসা রোদে, কখনো বাড়ি থেকে দূরে অচেনা কোনো পাহাড় জলের কাছে, কখনো সিনেমা ম্যাজিক আবার কখনো পুরনো কোনো গানে দেখা মিলেছে সেসব গল্পের। হারিয়ে যাওয়া, কুড়িয়ে পাওয়া এসব গল্প সবার কাছে তুলে ধরতে শুরু করে বুকস্টাগ্রামিং ও ব্লগিং। যেই বই হাতে পাওয়ার কারণে সাদা কালো জীবন হুট করে রঙিন হয়ে উঠেছিল তার, সবার মাঝে সেই রঙ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বই নিয়ে।
উনিশ শতাব্দীর শেষের দিকে ইংল্যান্ডের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম হয় বিয়াট্রিক্স পটারের। ছোটবেলা থেকেই পরিচারিকার কাছে লিখতে পড়তে শিখলেও, উচ্চশিক্ষা, জ্ঞানচর্চার দরজা বন্ধ ছিল তার। মেয়ে তাই, জ্ঞান বিজ্ঞানের জগৎ তার নয়।
কিন্তু বাবা মার নিষেধ শুনে কে কবে ইতিহাস গড়েছে! বিয়াট্রিস ও ব্যতিক্রম না। নিজের মনে একা বড় হতে থাকে। স্কটল্যান্ড আর লেক ডিস্ট্রিক্টের ছুটির দিনগুলো কাটে গাছ-সবুজ, লতা-পাতা, জল-আকাশের ছবি এঁকে। এঁকেছেন নিজের প্রিয় পোষা প্রাণীদের ছবি। একা একা পড়াশোনা করেছেন, জ্ঞান বিজ্ঞানের যে দরজা বাবা মা বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন, নিজ হাতে সে দরজা খুলেছেন নিজের জন্য। ফলস্বরূপ নামের পাশে যুক্ত হয়েছে লেখক, চিত্রশিল্পী, মাইকোলজিস্ট, ইলাস্ট্রেটর সহ কত তকমা!
তারই বই খরগোশছানা পিটার। ১৯০১ সালে প্রকাশিত বইটা তার *দ্য ওয়ার্ল্ড অব বিয়াট্রিক্স পটার* সিরিজের প্রথম কিস্তি। বাচ্চাদের জন্য লেখা এবং চিত্রিত বইটার অনুবাদ নিয়ে এসেছে ময়ূরপঙ্খি । ছোটদের তো ভালো লাগবেই, বড়দের জন্যও একদম মানানসই।
যারা নিজের ছোট বাবুদের একদম ছোটকাল থেকেই বইয়ের জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চান, এ বইটা তাদের জন্য খুবই ভালো হবে। ইলাস্ট্রেশনগুলোর রঙ, আঁকা সব এত চমৎকার। আমার তো ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করছি ময়ূরপঙ্খি এই সিরিজের ২৪ টা বইই ধীরে ধীরে আনবে।
Comments