লামিয়া আজাদ ও শামীম আহমেদ দম্পতির প্রথম যৌথ কাজ ‘ভূতের আগুন’। ‘মযূরপঙ্খি’ থেকে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ে লামিয়া আজাদ তাঁর ক্যানভাসে তুলে ধরেছেন নিজস্ব চিন্তাধারার প্রতিফলন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি সময় বের করে কাজটি সম্পন্ন করেন। লামিয়া আজাদ তাঁর প্রথম কাজ সম্পর্কে আমাদের ব্লগে লিখেছেন।
--------
গল্পের শুরুটা গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। দিন-তারিখের হিসেবে ২০২২ সালের ১০ই ডিসেম্বর। নিজের চিন্তাধারা ও সৌন্দর্যবোধকে রং-তুলির ছোঁয়ায় ক্যানভাসে প্রকাশ করার অভিজ্ঞতা থাকলেও এই প্রথম অন্যের আঁকা ছবিকে নিজের মতো করে রঙিন ও প্রাণবন্ত তোলার প্রচেষ্টা। অনেকটা মজার ছলেই কাজটা শুরু করা। প্রথমে ড্রাই প্যাস্টেল, পরে জলরঙে মনমতো রং না আসায় গুয়সে পুরো কাজটা শেষ করা হয়।
ফারজানা তান্নীর লেখা ‘ভূতের আগুন’ বইটি প্রকাশ করেছে ‘ময়ূরপঙ্খি’। বইয়ের ছবিগুলো এঁকেছেন শামীম আহমেদ। তিনি শিশুতোষ বইয়ের চিত্রকর ও স্থপতি। তাঁর আরেকটি পরিচয়, তাঁর হাতে হাত ধরে আমার একসাথে পথচলার শুরু ২০১৮ সালে। তবে এই পাঁচ বছরে কিংবা তার আগে কখনও আমরা একসাথে কাজ করিনি। ‘ভূতের আগুন’ আমাদের দুজনের জন্যই দারুণ এক অভিজ্ঞতা।
শিল্পী হিসেবে কাজটা আমার জন্য যতটা মজার ছিল, মা হিসেবে ঠিক ততটাই ছিল চ্যালেঞ্জিং। তবুও সে সময়টা রেখে গেছে অনেক অনেক মধুর স্মৃতি। দশ মাস বয়সের ছোট মেয়েটি যখন ঘুমাত শুধু তখনই আসলে কাজে বসতে পারতাম। আর যখনই
কাজ করতাম, পাশে এসে বসে যেত দুই বছরের ছেলেটি। তারও রং করা চাই। তবু মনে হয়, কোনো কাজকে মন দিয়ে ভালোবাসলে কোনো কোনো বাধাই আর আধা হয়ে থাকে না, কাজ ঠিকই বের করে আনা যায়।
শামীম আর আমার যৌথ কাজের শুরুটা এভাবেই হলো। আশা করি সামনেও আমরা একসাথে আরও কিছু কাজ করতে পারব।
---------
শহরের ইট-পাথরের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শতবর্ষ পুরনো ঐতিহ্য ও শিল্পকে ক্যানভাসে কিংবা পোশাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন লামিয়া আজাদ। ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভে চারুকলা আর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
শিল্পের সাথে পথ চলার স্বপ্ন দেখেন।
Comentarios